এখন ওষুধ ছাড়া লো ব্লাড প্রেসার থেকে রেহাইয়ের একমাত্র সহজ উপায়
অনেকের ধারণা যাঁদের স্বাস্থ্য দুর্বল তাঁরাই নিম্ন রক্তচাপে ভুগেন। চিকন বা মোটা যেকোন ব্যক্তির এ সমস্যা হতে পারে। সাধারণত অতিরিক্ত পরিশ্রম, দুশ্চিন্তা, ভয় ও স্নায়ুর দুর্বলতা থেকে এ সমস্যা হয়ে থাকে। ঘরে ঘরেই এমন অনেকে আছেন যারা লো ব্লাড প্রেসার বা হাইপোটেনশনে ভোগেন| ব্লাড প্রেসার মাপার পর যদি দেখা যায় রিডিং ৯০/৬০ বা তার কম হয়েছে তাহলে আপনার লো ব্লাড প্রেসার আছে| লো ব্লাড প্রেসার হলেও অনেক ধরনের সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়। আর তাই হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপের মতোই লো ব্লাড প্রেসার থাকলে আপনাকে বেশ কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে| চলুন সেগুলো জেনে নেওয়া যাক।
১. মদ্যপান এড়িয়ে চলুন, এর পরিবর্তে বেশি করে পানি পান করুন। আমরা অনেকেই জেনে থাকতে পারি, মদ্যপান করলে রক্তের চাপ বেড়ে যায়| কিন্তু এর মানে এই নয় আপনার লো ব্লাড প্রেসার থাকলে আপনি মনের আনন্দে মদ খেতে পারেন| এর ফলে কিন্তু শরীর ডিহাইড্রেশন হওয়ার সম্ভাবনা অনেকেটা বৃদ্ধি পায়| এতে আপনার ব্লাড প্রেসার আরও কমে যেতে পারে| তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
২. যারা লো ব্লাড প্রেসারে ভুগছেন তাদের উচ্চ কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকাটাই ভালো।
৩. লো ব্লাড প্রেসার হলে আপনি বেশি করে লবণ খেয়ে নিলেন আর আপনার ব্লাড প্রেসার বৃদ্ধি পেল| উল্টে এর ফলে হাই ব্লাড প্রেসার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়| তাই সারাদিনের ডায়েটে ২ থেকে ৩ মিলিগ্রাম লবণ থাকতে পারেন।
আরোও পড়ুনঃ চেহারায় বয়সের ছাপ! কাজে লাগান ঘরে তৈরি অ্যান্টি এজিং ফেসিয়াল মাস্ক
৪. লো ব্লাড প্রেসার হলে গরম পানিতে স্নান না করাই ভাল। বিশেষত বেশি সময়ের জন্য| এর ফলে মাথা ঘোরা বেড়ে যেতে পারে| নেহাত যদি শীতের সময় গরম পানিতে স্নান করতেই হয়, তাহলে একটা ছোট টুলে বসে স্নান করুন| তবে টুল থেকে ওঠার সময় ধীরে সুস্থে উঠুন এবং পায়ের পাতা, গোড়ালি আর উরুতে ম্যাসাজ করে নিন|
৫. রক্তচাপ বাড়াতে পায়ে মোজা পরে থাকলে উপকার পাওয়া যায়। কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এটা করবেন না|
৬. হাইপোটেনশন এড়াতে খানিক্ষণ পর পর খাবার খান| একেবারে অনেকটা না খেয়ে অল্প পরিমাণে খান।
৭. বিটের রস রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে ভূমিকা রাখে। এটি হাই ও লো প্রেশার- উভয়টির জন্য উপকারী। তাই রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে বিটের রস খাওয়া যেতে পারে।
৮. লবণে সোডিয়াম থাকে যা রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে। এক গ্লাস পানিতে দুই চা-চামচ চিনি ও এক-দুই চা-চামচ লবণ মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৯. দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় গ্লুকোজ ও স্যালাইন রাখুন।
১০. বেশি সময় খালি পেটে থাকলে রক্তচাপ কমে যেতে পারে। তাই ঘন ঘন হালকা খাবার খান।